Skip to content

কোনো ভবিষ্য তহবিল কর্তৃক স্বীকৃতি গ্রহণ এবং স্বীকৃতি বহাল রাখিবার জন্য নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ করিতে হইবে-

(ক) সকল কর্মচারীর নিয়োগ বাংলাদেশের মধ্যে হইতে হইবে অথবা নিযুক্ত কর্মচারীগণের নিয়োগকর্তার ব্যবসার মুখ্য স্থান বাংলাদেশে অবস্থিত হইতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নিয়োগকৃত কর্মচারীগণের অনধিক ১০% (দশ শতাংশ) বাংলাদেশের বাহিরে নিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও, কর কমিশনার (অতঃপর এই অংশে “কমিশনার” হিসাবে উল্লিখিত) যদি শর্তসাপেক্ষে বিবেচনা করেন, তাহা হইলে উক্ত শর্ত সাপেক্ষে, কোনো নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের বাহিরে হওয়া সত্ত্বেও তাহার পরিচালিত তহবিলকে স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে;

(খ) কোনো বৎসর একজন কর্মচারীর বার্ষিক চাঁদার পরিমাণ তাহার বার্ষিক বেতন হইতে নির্দিষ্ট হারে ধার্য করা হইবে, এবং সেই বৎসর কর্মচারীর বেতন হইতে যেই হারে চাঁদা পরিশোধ্য ছিল সেই হারের নিরিখে প্রতিটি পর্যায়ক্রমিক কিস্তিতে নিয়োগকর্তা কর্তৃক চাঁদা কর্তন করা হইবে এবং তহবিলে কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে উক্ত অর্থ জমা প্রদান করিতে হইবে;

(গ) কোনো বৎসরের জন্য কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধযোগ্য চাঁদার পরিমাণ সেই বৎসরের জন্য কর্মচারীর প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ অপেক্ষা অধিক হইতে পারিবে না, এবং নিয়োগকর্তা কর্তৃক সেই অর্থ কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অনধিক ১ (এক) বৎসরের ব্যবধানে জমা প্রদান করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার, এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে, কোনো বিশেষ তহবিলের জন্য নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই দফার বিধান শিথিল করিতে পারিবেন-

(অ) যে কর্মচারীর মাসিক বেতন অনধিক ৫০০ (পাঁচশত) টাকা, এইরূপ প্রতিটি কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তা কর্তৃক অধিক চাঁদা জমাদানের অনুমতি প্রদান; এবং

(আ) নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সাময়িক বা পর্যায়ক্রমিক বোনাস বা আকস্মিক প্রকৃতির চাঁদা প্রদানের অনুমতি প্রদান, যেইক্ষেত্রে তহবিলের প্রবিধানমালা অনুসারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় এইরূপ বোনাস ও অন্যান্য চাঁদা পরিগণনা ও পরিশোধ করা হয়;

(ঘ) উপরি-উল্লিখিত চাঁদাসমূহ এবং ট্রাস্টি কর্তৃক গৃহীত দান, যদি থাকে, তাহার পুঞ্জিভূত অর্থের সুদ, জমাকৃত অর্থ এবং এইরূপ অর্থ দ্বারা ক্রয়কৃত সিকিউরিটি এবং তহবিলের মূলধনি সম্পদের বিক্রয়, বিনিময় বা হস্তান্তর হইতে উদভূত মূলধনি অর্জন দ্বারা তহবিলটি গঠিত হইবে, এবং এই অর্থ ব্যতীত অন্য কোনো অর্থ দ্বারা তহবিল গঠিত হইবে না;

(ঙ) তহবিলটি কোনো ট্রাস্টের অধীন দুই বা ততোধিক ট্রাস্টি বা অফিসিয়াল ট্রাস্টির উপর ন্যস্ত হইবে, যাহা উক্ত ট্রাস্টের সকল সুবিধাভোগীর সম্মতি ব্যতীত পরিবর্তনযোগ্য হইবে না;

(চ) যেইক্ষেত্রে কোনো কর্মচারী তাহার ভগ্ন স্বাস্থ্যগত কারণ বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণ ব্যতীত অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত হন, অথবা তহবিলের প্রবিধানমালায় চাকরির নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হইবার পূর্বে স্বেচ্ছায় চাকরি ত্যাগ করেন, সেইক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা তহবিল বাবদ কোনো অর্থ কর্মচারীর নিকট হইতে কোনোভাবে আদায় করিবার অধিকারী হইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে তহবিলের প্রবিধানমালা অনুসারে কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদা ও পরিশোধিত চাঁদাসহ পুঞ্জিভূত অর্থের উপর উপচিত সুদ বাবদ কোনো অর্থ নিয়োগকর্তা কর্তৃক তহবিল হইতে আদায় করা পর্যন্ত তাহার ক্ষমতা সীমিত থাকিবে;

(ছ) কোনো কর্মচারীকে তহবিলে তাহার পুঞ্জিভূত স্থিতি সেইদিন পরিশোধ করিতে হইবে, যেইদিন হইতে তিনি নিয়োগকর্তার অধীন তহবিল পরিচালনা হইতে বিরত হইবে;

(জ) দফা (ছ) এর বিধান অথবা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাবলি ও বিধি-নিষেধ অনুসরণ ব্যতীত, কোনো কর্মচারীকে তাহার অনুকূলে জমাকৃত স্থিতির কোনো অংশ পরিশোধ করিবে না;

(ঝ) তহবিল বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটের মাধ্যমে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, নির্ধারিত অন্যান্য শর্ত পূরণ করিবে ।

5 views