১। বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে বলবৎ কোনো আইনের অধীন কোনোরূপ ব্যবসায়িক পুনর্গঠন হইলে উহা হইতে উদ্ভুত করদায় এই অংশের বিধানানুসারে নির্ধারিত হইবে।
২। একীভূতকরণ স্কিমের অধীন (in the sheme of amalgamation) মূলধনি পরিসম্পদ হস্তান্তরিত হইলে উক্ত হস্তান্তর হইতে উদ্ভূত মূলধনি আয় এই আইনের অধীন করারোপিত হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, একীভূতকরণ স্কিমের অধীন একীভূতকরণাধীন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারগণ একীভূত কোম্পানির শেয়ার ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারে কোনো পণ (consideration) গ্রহণ করিলে উহা করযোগ্য আয় হিসাবে পরিগণিত হইবে এবং প্রযোজ্য হারে করারোপিত হইবে।
৩। ধারা ৭০ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, একীভূতকরণ স্কিমের অধীন গঠিত একীভূত কোম্পানি একীভূতকরণাধীন কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা নিজের পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা হিসাবে এইরূপভাবে সমন্বয় করিতে ও জের টানিতে পারিবে যেন উক্ত পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা একীভূত কোম্পানি বরাবর, সময় সময়, উদ্ভূত হইয়াছিল।
৪। একীভূতকরণ স্কিমের অধীন গঠিত একীভূত কোম্পানির মূলধনি পরিসম্পদের মূল্য একীভূতকরণাধীন কোম্পানির হিসাববহিতে প্রদর্শিত মূলধনি পরিসম্পদের অবলোপিত মূল্যের অধিক হইবে না এবং মূলধনি পরিসম্পদের পুনর্মূল্যায়ন হইলে, পুনর্মূল্যায়িত উদ্বৃত্তের (revaluation surplus) উপর কোনো প্রকার অবচয় বা অ্যামর্টাইজেশন ভাতা দাবি করা যাইবে না।
৫। ডিমার্জারের ফলে ডিমার্জড কোম্পানি হইতে ফলশ্রুত কোম্পানিতে মূলধনি পরিসম্পদ হস্তান্তরিত হইলে উক্ত হস্তান্তর হইতে উদ্ভূত মূলধনি আয় এই আইনের অধীন করারোপিত হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, ডিমার্জড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারগণ ফলশ্রুত কোম্পানির শেয়ার ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারে কোনো পণ গ্রহণ করিলে অথবা ফলশ্রুত কোম্পানি হইতে প্রাপ্ত শেয়ারের মূল্য ডিমার্জড কোম্পানির আনুপাতিক শেয়ারের মূল্য অপেক্ষা অধিক হইলে যতটুকু অধিক উহা করযোগ্য আয় হিসাবে পরিগণিত হইবে এবং প্রযোজ্য হারে করারোপিত হইবে।
৬। ধারা ৭০ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, ডিমার্জারের ক্ষেত্রে ডিমার্জড কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা নিম্নবর্ণিতভাবে ফলশ্রুত কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা হিসাবে পরিগণিত হইবে-
(ক) ফলশ্রুত কোম্পানিতে হস্তান্তরিত উদ্যোগের সহিত সরাসরি সম্পর্কিত পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা ফলশ্রুত কোম্পানি তাহার নিজের পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা হিসাবে এইরূপভাবে দাবি করিতে পারিবে যেন পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা ফলশ্রুত কোম্পানির বরাবর, সময় সময়, উদ্ভুত হইয়াছিল;
(খ) ফলশ্রুত কোম্পানিতে হস্তান্তরিত উদ্যোগের সহিত সরাসরি সম্পর্কিত নহে এইরূপ পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা প্রথমে ডিমার্জড কোম্পানি ও ফলশ্রুত কোম্পানির মধ্যে কোনো উদ্যোগের পরিসম্পদের ধারণের অনুপাতে বিভাজিত হইবে এবং পরবর্তীতে অনুপাতিক পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা ফলশ্রুত কোম্পানি তাহার নিজের পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা হিসাবে এইরূপভাবে দাবি করিতে পারিবে যেন পুঞ্জিভূত লোকসান বা অনিঃশেষিত অবচয় ভাতা ফলশ্রুত কোম্পানির বরাবর, সময়ে সময়ে, উদ্ভূত হইয়াছিল।
৭। ডিমার্জারের ক্ষেত্রে ফলশ্রুত কোম্পানির মূলধনি পরিসম্পদের মূল্য ডিমার্জারের বৎসরে ডিমার্জড কোম্পানির হিসাববহিতে প্রদর্শিত মূলধনি পরিসম্পদের অবলোপিত মূল্যের অধিক হইবে না এবং মূলধনি পরিসম্পদের পুনর্মূল্যায়ন হইলে, পুনর্মূল্যায়িত উদ্বৃত্তের উপর কোনো প্রকার অবচয় বা অ্যামটাইজেশন ভাতা দাবি করা যাইবে না।
৮। এই অংশের উদ্দেশ্যেপূরণকল্পে, –
(১) “উদ্যোগ” অর্থ-
(ক) কোনো উদ্যোগের কোনো অংশ;
(খ) কোনো উদ্যোগের কোনো ইউনিট বা বিভাগ;
(গ) কোনো পূর্ণাঙ্গ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড; বা(ঘ) কোনো উদ্যোগের এইরূপ কোনো পরিসম্পদ বা দায় বা উহাদের কোনো সম্মিলন যাহা কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড গঠন করে;
(২) “একীভূত কোম্পানি” অর্থ-
(ক) কোনো কোম্পানি যাহার সহিত একীভূতকরণাধীন কোম্পানি বা কোম্পানিসমূহ একীভূত হয়; অথবা
(খ) দুই বা ততোধিক কোম্পানির একীভূতকরণের ফলে গঠিত কোনো কোম্পানি:
(৩) “একীভূতকরণ (amalgamation)” অর্থ, কোম্পানির ক্ষেত্রে এইরূপ প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক কোম্পানির অন্য কোম্পানির সহিত একীভূত হওয়া অথবা দুই বা ততোধিক কোম্পানি একীভূত হইয়া নূতন কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়া, যাহার ফলে-
(ক) একীভূতকরণের অব্যবহিত পূর্বে একীভূতকরণাধীন (merging) কোম্পানির সকল সম্পত্তি একীভূত (merged) কোম্পানির সম্পত্তি হইবে;
(খ) একীভূতকরণের অব্যবহিত পূর্বে একীভূতকরণাধীন কোম্পানির সকল দায় একীভূত কোম্পানির দায়ে পরিণত হইবে; এবং
(গ) যেইক্ষেত্রে একীভূত কোম্পানি বাংলাদেশি কোম্পানি, সেইক্ষেত্রে একীভূতকরণাধীন কোম্পানির অন্যূন ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) শেয়ারের ভ্যালু (Value of Share) ধারণকারী শেয়ারহোল্ডারগণ একীভূত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হইবে; অথবা যেইক্ষেত্রে একীভূত কোম্পানি বিদেশি কোম্পানি, সেইক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো বাংলাদেশি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডকারী একীভূতকরণাধীন বিদেশি কোম্পানির অন্যূন ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) শেয়ারের ভ্যালু ধারণকারী শেয়ারহোল্ডারগণ একীভূতকরণের ফলে একীভূত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(অ) একীভূতকরণের অব্যবহিত পূর্বে কোনো একীভূত কোম্পানি সরাসরি বা কোনো নমিনির মাধ্যমে একীভূতকরণাধীন কোম্পানির শেয়ার ধারণ করিলে উহা ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনার পূর্বে বাদ দিয়া অবশিষ্ট শেয়ারের ভ্যালু হইতে ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনা করিতে হইবে; এবং
(আ) একীভূতকরণের অব্যবহিত পূর্বে কোনো একীভূত কোম্পানির সাবসিডিয়ারি সরাসরি বা কোনো নমিনির মাধ্যমে একীভূতকরণাধীন কোম্পানির শেয়ার ধারণ করিলে উহা ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনার পূর্বে বাদ দিয়া অবশিষ্ট শেয়ারের ভ্যালু হইতে ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনা করিতে হইবে;
(৪) “একীভূতকরণাধীন কোম্পানি” অর্থ-
(ক) কোনো কোম্পানি যা অপর কোনো কোম্পানির সহিত একীভূত হয়; অথবা
(খ) কোনো কোম্পানি যা নূতন কোনো কোম্পানি গঠনের উদ্দেশ্যে অপর কোনো কোম্পানির সহিত একীভূত হয়;
(৫) “ডিমার্জড কোম্পানি” অর্থ এইরূপ কোম্পানি যাহার কোনো উদ্যোগ ডিমার্জারের ফলে ফলশ্রুত কোম্পানিতে হস্তান্তরিত হইয়াছে;
(৬) “ডিমার্জার (demerger)” অর্থ এইরূপ কোনো বন্দোবস্ত যাহার মাধ্যমে কোনো ডিমার্জড (demerged) কোম্পানি তাহার এক বা একাধিক উদ্যোগ (undertakings) কোনো ফলশ্রুত (resulting) কোম্পানিতে এইরূপভাবে স্থানান্তর করে যে-
(ক) ডিমার্জারের অব্যবহিত পূর্বে ডিমার্জড কোম্পানির কোনো উদ্যোগের সকল সম্পত্তি ডিমার্জারের ফলে ফলশ্রুত কোম্পানির সম্পত্তিতে পরিণত হয়;
(খ) ডিমার্জারের অব্যবহিত পূর্বে ডিমার্জড কোম্পানির কোনো উদ্যোগের সকল দায় ডিমার্জারের ফলে ফলশ্রুত কোম্পানির দায়ে পরিণত হয়;
(গ) ডিমার্জারের অব্যবহিত পূর্বে ডিমার্জড কোম্পানির কোনো উদ্যোগের সকল সম্পত্তি ও দায় ডিমার্জড কোম্পানির হিসাববহিতে উল্লিখিত মূল্যে ফলশ্রুত কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হয়;
(ঘ) যেইক্ষেত্রে ফলশ্রুত কোম্পানি বাংলাদেশি কোম্পানি, সেইক্ষেত্রে ডিমার্জড কোম্পানির অন্যূন ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) শেয়ারের ভ্যালু (Value of Share) ধারণকারী শেয়ারহোল্ডারগণ ফলশ্রুত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হইবে; অথবা যেইক্ষেত্রে ফলশ্রুত কোম্পানি বিদেশি কোম্পানি, সেইক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো বাংলাদেশি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডকারী ডিমার্জড বিদেশি কোম্পানির অন্যূন ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) শেয়ারের ভ্যালু ধারণকারী শেয়ারহোল্ডারগণ ডিমার্জারের ফলে ফলশ্রুত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হইবে
(ঙ) ফলশ্রুত কোম্পানিতে স্থানান্তরিত সম্পত্তি এবং দায় ফলশ্রত কোম্পানিতে সক্রিয় ব্যবসা হিসাবে স্থানান্তরিত হয়:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(অ) ডিমার্জারের অব্যবহিত পূর্বে কোনো ফলশ্রুত কোম্পানি সরাসরি বা কোনো নমিনির মাধ্যমে ডিমার্জড কোম্পানির শেয়ার ধারণ করিলে উহা ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনার পূর্বে বাদ দিয়া অবশিষ্ট শেয়ারের ভ্যালু হইতে ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনা করিতে হইবে; এবং
(আ) ডিমার্জারের অব্যবহিত পূর্বে কোনো ফলশ্রুত কোম্পানির সাবসিডিয়ারি সরাসরি বা কোনো নমিনির মাধ্যমে ডিমার্জড কোম্পানির শেয়ার ধারণ করিলে উহা ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনার পূর্বে বাদ দিয়া অবশিষ্ট শেয়ারের ভ্যালু হইতে ৭৫% (পঁচাত্তর শতাংশ) পরিগণনা করিতে হইবে।
(৭) “ফলশ্রুত কোম্পানি” অর্থ-
(ক) এইরূপ কোনো কোম্পানি যাহার নিকট ডিমার্জারের ফলে ডিমার্জড কোম্পানির কোনো উদ্যোগ হস্তান্তরিত হয়; বা
(খ) ডিমার্জারের ফলে গঠিত কোনো ফলশ্রুত কোম্পানি;
(৮) “ব্যবসা পুনর্গঠন” অর্থ-
(ক) একীভূতকরণ; এবং
(খ) ডিমার্জার।